‘মহান আল্লাহতালা চাইলে সমাবেশ হবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৪টায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
নিরপেক্ষ নির্বাচন ও বিগত সিটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তবে সে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। কেন সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত লিখে নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন ইশরাক হোসেন।
সময় সংবাদের পাঠকদের জন্য ইশরাকের সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আজকে ১৬ তারিখ ঢাকা মহাসমাবেশ পেছানোর জন্যে প্রথমে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দূর দূরান্তের জেলা থেকে আগত গণতন্ত্রকামী সহযোদ্ধাদের যারা আগে থেকে ঢাকায় এসে অবস্থান করেছিলেন। আপনাদের অসুবিধা সৃষ্টি হওয়ার জন্যে আমি মনের গভীর থেকে আবারো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। মহান আল্লাহতায়ালা চাইলে সমাবেশ হবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না।
আজকে পর্যন্ত শরীরে অত্যন্ত জ্বর এবং গলা ইনফেকশন এর কারণে কথা বলা ও খাওয়া সীমিত। এন্টিবায়োটিক খাচ্ছি যা কার্যকর হতে অন্তত ৫ দিন লাগবে। অতএব আমাদের দলের নীতিনির্ধারকবৃন্দের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কারণ এই অবস্থায় সমাবেশ সর্বোচ্চ সফলতার খাতায় নিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব।
আমি সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে দলের নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনা করে অতি দ্রুত পরবর্তী তারিখ ঘোষণা দেয়া হবে ইনশাল্লাহ। এবং সমাবেশের প্রস্তুতি সভা আবার শুরু করা হবে পার্শ্ববর্তী জেলা উপজেলা পর্যায়ে।
মহান আল্লাহতায়ালা যা করেন ভালোর জন্যেই করেন। আমাদের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, জনগণের জীবনের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। যুদ্ধের ময়দানে মহান আল্লাহতায়ালা অনেক পরীক্ষা নিবেন যেটা পার করেই আমাদের বিজয় আসবে।
অসুস্থ অবস্থায় কষ্ট করে যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেখি গুটিকয়েক লোক তারিখ পাল্টানোর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছে, কেও আবার আমার ভাষা পরিমার্জিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন তখন একজন দেশপ্রেমী সৈনিক হিসাবে মাথা উত্তপ্ত হবেই। কারো ভালো না লাগলে দয়া করে আমার লেখা পড়ার দরকার নাই। সংখ্যায় নগণ্যদের খুশি করার জন্যে আমি রাজনীতি করি না। দেশ বাঁচানোর, মানুষ বাঁচানোর জন্যে রাজনীতি করি ইনশাল্লাহ আজীবন সেটাই করে যাবো।
আমাকে পরামর্শ দেয়ার জন্যে আমার নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দলের মহাসচিব সহ অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ রয়েছেন। দেখা হবে মাঠে। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’