1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
April 19, 2024, 9:26 am

যশোর জেলা যুবলীগ সভাপতি-সম্পাদক লড়াই ধামাকা

  • প্রকাশিত : বুধবার, এপ্রিল ৬, ২০২২
  • 441 বার পঠিত
যশোর জেলা যুবলীগ সভাপতি-সম্পাদক লড়াই ধামাকা

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যশোর জেলা শাখার নেতৃত্বে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন; ১) যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র  জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ২) সৈয়দ মুনির হোসেন টগর ৩) মঈন উদ্দীন মিঠু ৪) দেবাশীষ রায়, ৬) জাকির হোসেন ৭) শফিকুল ইসলাম জুয়েল ৮) আরিফুল ইসলাম রিয়াদ ৯) আনোয়ার হোসেন বিপুল ১০) রওশন ইকবাল শাহী ১১) মাজহারুল ইসলাম ১২) কাউন্সিলর হাজী আলমগীর কবীর সুমন ১৩) সৈয়দ মেহেদী হাসান ১৪) হাফিজুর রহমান ১৫) কসবা টাইলস লাবুসহ অন্তত ১৮ জন। তবে কেন্দ্রে সভাপতি-সাধারন সম্পাদক পদের তালিকা সংক্ষিপ্ত হয়েছে।

যশোর জেলা যুবলীগের শীর্ষ পদ পাওয়ার জন্য ১৮জন নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। পদ প্রত্যাশীরা প্রায় সবাই রাজনীতির মাঠে সরব রয়েছেন। সভাপতি- সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা দীর্ঘ। আলোচনায় প্রায় ডজন খানেক নেতার নাম। এরা পদ প্রত্যাশায় জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিয়েছেন। এদের বেশির ভাগ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

জনমনে প্রশ্ন কে হচ্ছেন যশোর জেলা যুবলীগের সভাপতি বা সম্পাদক। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর যশোর জেলা যুবলীগের কমিটি গঠনের উদ্যোগে ১ জানুয়ারি/২২ যুবলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চলতি বছরের ৩ থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে যুবলীগের প্রধান কার্যলয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও সর্বশেষ শিক্ষা সনদের ফটোকপিসহ জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে বলা হয়।

এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি যশোর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হবে বলে গত ১ ডিসেম্বর বর্ধিত সভায় ঘোষণা হয়।

তবে, খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল জানিয়েছেন, তৃনমূলের
ইউনিটগুলোর দাবির ভিত্তিতে বর্ধিত সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হয়েছিল। কিন্ত ২৩ জানুয়ারি সম্মেলন হয়নি। নতুন দিনক্ষন এখনো ধার্য্যূ হয়নি। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করবেন। তবে পদ পেতে যশোরের যুবলীগ নেতৃবৃন্দ পৃথক বহরে রাজধানী ঢাকা, গোপালগঞ্জ, খুলনা ও বাগেরহাটে ঘন ঘন ট্যুর দিচ্ছেন। এটিকে তারা বলছেন সাংগঠনিক ট্যুর। এরা সাথে নিয়ে যাচ্ছেন খেজুরের গুড়-পাটালী, চিংড়ী, মিষ্টিসহ নানা উপঢৌকন। বলাই বাহুল্য সুপারিশ তদবির হিসাবেই তা পেশ হচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, যশোরে বাড়ি তবু আমরা শীতে পাইনি খেজুরের জিরেন রস। আর ওটা চোখের সামনে দিয়ে ভাড় ভাড় রস, পাটালী, চিংড়ী, পিঠা মিঠাই চলে গেল নেতাদের বাড়ীতে। প্রাইভেট মাইক্রো
ভরে ভরে পদের দাবিদাররা তা উপঢৌকন হিসাবে পেশ করেছেন।

দীর্ঘদিন পর নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। সভাপতি-সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যশোর জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মুনির হোসেন টগর ওরফে হ্যানিম্যান টগর, যশোর পৌর সভার সাবেক মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে যুক্ত। এছাড়া, যশোর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দীন মিঠু, যশোর জেলা আওয়ামী যুব লীগের নির্বাহী সদস্য শেখ জাহিদুর রহমান লাবু ওরফে কসবা টাইলস লাবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ রায়, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জাকির হোসেন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার
হোসেন বিপুল, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম, কাউন্সিলর আলমগীর কবীর সুমন @ হাজী সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাাদক সৈয়দ
মেহেদী হাসান, হাফিজুর রহমান প্রমূখ।

২০০৩ সালের ১৯ জুলাই যশোর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। এতে বর্তমান যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরীকে সভাপতি ও জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা
যুবলীগের কমিটি হয়। ৫৩ সদস্যের এই কমিটির মেয়াদ ২০০৬ সালে শেষ হয়। এই কমিটির সভাপতি যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী পদত্যাগ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পদের সাথে যুবলীগের পদে যুক্ত রয়েছেন। একই অবস্থা উপজেলা যুবলীগের কমিটি গুলোতে। তিন মাসের আহ্ধসঢ়;বায়ক কমিটি পাঁচ বছরে পড়েছে। ওই সময় বেশ কয়েকটি উপজেলায় যুবলীগের আহ্ধসঢ়;বায়ক কমিটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ উঠে, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে পকেট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবুও বহাল তবিয়তে আছেন তারা। এসব কমিটির নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, বোমাবাজি, চাঁদাবাজি, ত্রাণের চাল চুরিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ আছে। দীর্ঘ সময় জেলা যুবলীগ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় যুবলীগের রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয় জেলার নেতৃবৃন্দ। পরে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশনায় যুবলীগ কিছুটা গতি পায়। পদের আশায় বর্তমানে যশোর জেলা যুবলীগ বেশ কয়েকটি ভাগে ভিন্ন ভিন্ন নেতৃত্বে জাতীয় ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সরব উপস্থিতি রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
© All rights reserved © 2017 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park