ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলাটি করা হয়। এরপরই ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পরিচয়ে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ওই ছবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ছড়িয়ে পড়া ছবিটি নুজহাত ফারিয়া রোকসানা নামে এক ছাত্রীর। তিনি পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ইডেন মহিলা কলেজে। এছাড়া তিনি ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এ বিষয়ে তিনি নিজেই গতকালই ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিচ্ছে। আর মামলা করেছে ঢাবির এক মেয়ে, আমি ইডেনে পড়ি। অথচ আমার ছবি ব্যবহার করে নানা রকম মিথ্যা ও বানোয়াট কুৎসা রটাচ্ছে। যা একজন নারীর জন্য অপমানজনক ও অবমাননাকর। আমি এই কুরুচিশীলদের বিপক্ষে অতিদ্রুত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। অতএব, সাধু সাবধান।’
এ বিষয়ে জাগো নিউজকে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। নুরের বিরুদ্ধে যে শিক্ষার্থী মামলা করেছে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আর আমি ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী। অনেকে না জেনেই আমার ছবি বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ও পেজে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আমি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।’
যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করবেন জানিয়ে ইডেন কলেজের এই ছাত্রী বলেন, ‘এই বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয়েছে। গুজব প্রতিরোধে ছাত্রলীগ পরিবার আমার সঙ্গে আছে।’
সবাইকে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
নুরের নামে করা এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী শিক্ষার্থী ঢাবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকেন।
নুর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।